বরগুনার আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় যুবকরা কিশোর বয়সে ভিডিও গেম কিংবা ডিজিটাল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে আচরণগত পরিবর্তন হচ্ছে। ১২-২০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
দিনের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ভিডিও গেম খেললে তাকে আসক্ত বলে মনে করা হবে। খেলার কারণে পরিবার কিংবা পড়াশোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আগ্রহ হারানোও আসক্তির অন্যতম লক্ষণ। ভিডিও গেমে আসক্তি হওয়ার ফলে হাঁটা-চলা, দৌড়ানোর মতো কাজ কমতে থাকে, ফলে শারীরিক দক্ষতা কমে। ঘুম কমে যায় বলে জীবনযাপনের ধারাও বদলাতে থাকে।
এক্ষেত্রে স্কুলের পাশাপাশি আসক্তি ঠেকাতে অভিভাবকদের নজরদারিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাড়িতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতেই ছেলে-মেয়েরা এই মোবাইলে আসক্তি হয়ে পড়ে।
আমতলীর সিনিয়র সাংবাদিক মো. হায়াতুজ্জামান মিরাজ বলেন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকে না। তাই গেমে আসক্ত হয়, আবার অনেকে গেমে আসক্ত হওয়ায় পড়ায় মনোযোগ হারায়। স্মার্টফোন ব্যবহারে শিক্ষকদের ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ