ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুধ দিয়ে কার্যালয় ধুয়ে দায়িত্ব নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:২৭

পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটুলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় দুধ ও গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহসিন উদ্দিন পিপুল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভের পর বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিনি শপথ নেন।

পরে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইউপি কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মহসিন উদ্দিন পিপুল।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের দুধ দিয়ে ধুয়ে ইউপি কার্যালয়ে বসার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত ওসমানকে পরাজিত করে বিজয়ী হোন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মহসিন উদ্দিন পিপুল। তিনি কৈটুলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে পিপুলকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত ওসমান।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, ইউপি নির্বাচনে আমরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছি। কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার বিকেলে একদল তরুণকে বালতিসহ ইউপি কার্যালয় এলাকায় ধোয়া-মোছা করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে তারা ইউনিয়ন পরিষদকে পানি দিয়ে ধৌত করবে বলে জানান। পরে লোকমুখে শুনি দুধ ও গোলাপজল দিয়ে ইউপি কার্যালয়সহ পুরো চত্বর ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। এসে দেখি ঘটনা সত্য।

আলেয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ জানান, টিভিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর দুধ দিয়ে গোসল করার ভিডিও দেখেছি। কিন্তু কার্যালয় বা অফিস দুধ দিয়ে ধৌত করে এমনটি প্রথম দেখলাম। বিষয়টি আমার কাছে নতুন লেগেছে।

এ বিষয়ে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন উদ্দিন পিপুল বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে আগের চেয়ারম্যানের আমলে এই কার্যালয়ে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হতো। যা কার্যালয়কে অপবিত্র করে দিয়েছিল। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও অনেক ক্ষোভ ছিল। মানুষ এখানে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। কার্ড বাণিজ্যসহ সব কিছু অনিয়মে পরিণত হয়েছিল।

তবে কার্যালয় দুধ দিয়ে ধোয়ার জন্য আমি দায়ী নই। আমি পানি দিয়ে ধোয়ার কথা বললেও অতি উৎসাহীরা দুধ দিয়ে কার্যালয় ধুয়ে পবিত্র করেছে। বিষয়টি এখন অন্য দিকে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, ইউপি কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে আমাকে অপমান করা হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের সময়ও আমাকে জানানো হয়নি। চেয়ারম্যান হিসেবে কোনো দিন কাউকে অসম্মান করিনি। আমার এই মানহানির জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ