রাজশাহী মহানগরীতে সরকারি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। আরএমপি’র রাজপাড়া থানা পুলিশ টাকা, অলংকারাদীসহ প্রতারককে আটক করে।প্রতারকের নাম কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ (৪৩)। সে রাজশাহী জেলার বাঘা থানার চকছাতারী গ্রামের আব্দুল কাশেম মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় আরএমপির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরএমপি জানায়, প্রতারক কুদ্দুস গত ৩১ জানুয়ারি সকালে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার নূর জাহান বেগমের বাড়িতে গিয়ে নিজেকে রাজশাহী ডিসি অফিসের পিওন বলে পরিচয় দেয়। সে নূর জাহানকে জানায় তাকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হবে। এজন্য তাকে রাজশাহী জজকোর্টে যেতে হবে। প্রতারক ফিরোজের কথা অনুযায়ী নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে রাজশাহী জজকোর্টে আসেন। রাজশাহী জজকোর্ট বিল্ডিং এর সামনে তারা আসলে ফিরোজ তাদের বলেন, তোমাদের গয়না ও মোবাইল গুলো একটা ব্যাগের মধ্যে রেখে দাও। এগুলো দেখলে বাড়ি বরাদ্দ দেবে না। ফিরোজের কথামত নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে তাদের বিভিন্ন অংলাকার, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে দেয়।
এরপর ফিরোজ তাদের বলে, বাড়ির জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে এ জন্য তাদের কোর্ট বিল্ডিং এর ৩য় তলায় যেতে বলে। ফিরোজ ব্যাগটি তার কাছে রেখে যেতে বলে। তারা ব্যাগটি ফিরোজের কাছে রেখে বিল্ডিং এর ৩য় তলায় গেলে সেই সুযোগে ফিরোজ তাদের ভ্যানেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। নূর জাহান বেগমের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সিসি টিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে প্রতারককে সনাক্ত করা হয়। এরপর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম বৃহস্পতিবার রাতে বাঘা থানার চকছাতারী গ্রাম থেকে বাঘা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক ফিরোজকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নগদ ৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অলংকারাদী উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ