মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক গেন্দু মাতব্বর ও তার পরিবারের ওপর হামলা এবং বাড়িঘর ভাংচুরের মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হরিরামপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে হারুকান্দি ইউনিয়নের তন্ত্রখোলা গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তন্ত্রখোলা গ্রামের যোগেশ বিশ্বাসের ছেলে গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও মৃত কানাই সরকারের ছেলে নিতাই সরকার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দি ইউনিয়নের তন্ত্রখোলা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাবেক সভাপতি গেন্দু মাতব্বর। তিনি গত ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শেখ মোশারফের পক্ষে কাজ না করে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান চুন্নুর সমর্থক হয়ে কাজ করেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয় নৌকার প্রার্থী শেখ মোশারফ, সাবেক চেয়ারম্যান রহিম বিশ্বাস ও নৌকার সমর্থকরা। ভোটের দিনগত গভীর রাতে তার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় নানাজাতের গাছপালা কাটা হয় ও ঘরের বেড়ার টিন কেটে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করা হয়। গত ৮ জানুয়ারি সকালে শেখ মোশারফ ও সাবেক চেয়ারম্যান রহিম বিশ্বাস ৭০/৮০ জন লোক নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এসময় গেন্দু মাতব্বরের পুত্রবধূর হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফোন উদ্ধার করে। একই দিন দুপুরে গেন্দু মাতব্বরের ৯ বছরের নাতী রাস্তায় বের হলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে জীবনের নিরাপত্তার জন্য তিনি হরিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী গেন্দু মাতব্বর।
অভিযোগে প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান রহিম বিশ্বাসকে। অপর আসামিরা হচ্ছেন- মো. বাধন, মো. আজিজ, আক্কাস মন্ডল, নিতাই সরকার, কানাই সরকার, কংস কবিরাজ, গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ওরফে কালা।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. মিজানুর ইসলাম জানান, নির্বাচনী সহিংসতা মামলায় গ্রেফতারকৃত ওই ২ আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো। তাই গতরাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। এ মামলায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও ওসি জানান।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ