ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাকরি না পেয়ে কৃষিতে সাফল্য খুঁজছেন তারা  

প্রকাশনার সময়: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:০৬

চাকরি না পেয়ে কৃষিতে সাফল্য খুঁজছেন সিরাজগঞ্জ এলাকার কামারখন্দের ৩ যুবক। লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো কাশ্মীরি কুলচাষে দারুন সফলও হয়েছেন তারা।

ওই তিন যুবক হলেন- সবুজ সুনিবিড় গ্রামের ওমর ফারুক, সাদ্দাম ও সাহাদাৎ। পরিবারকে নিয়ে ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্নে তিন যুবককেই শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেতে হয়েছে। তবুও তারা থেমে থাকেননি বরং চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিতেই সাফল্য খুঁজছেন তারা।

এজন্য কয়েক বিঘা জমিতে গড়ে তোলা তাদের কৃষি খামারে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে গত বছরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সিরাজগঞ্জ খোকশাবাড়ি হর্টিকালচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত কাশ্মীরী কুলের ১০০ চারা, মালটার ১০০ চারা ও থাই পিয়ারার প্রায় ৬০০ চারা নিয়ে তাদের এই খামারের যাত্রা শুরু হয়।

ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০হাজার টাকার পিয়ারা বিক্রি করেছে। এখন বিপ্লব ঘটেছে কাশ্মীরী কুলে। সারা বাগান যেন সবুজ-লাল রঙ্গে ছেয়ে গেছে। বর্তমানে তার বাগানের কুল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩২শ’ টাকা করে। ১০০টি গাছে এবছর আনুমানিক ১৫ থেকে ২০মণ কুল ধরেছে।

তরুণ উদ্যোক্তা ওমর ফারুক জানায়, লেখাপড়া করার পাশাপাশি পতিত জমিতে মিশ্র ফল বাগান করে আমরা বেশ লাভের মুখ দেখছি। আমাদের প্রত্যেকটি ফল গাছ অনেক সুন্দর হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানা প্রকার পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহায়তা করছে। আশা করি আগামী বছরের মধ্যে আমরা আমাদের কৃষির ব্যাপক বিপ্লব ঘটাতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানায়, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনীর মাধ্যমে এরা তিন যুবক এই কৃষি খামার গড়ে তুলেছে। আমরা নিয়মিত তাদের এই উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং নিয়মিত তাদের কৃষি খামার পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি তারা তাদের এই উদ্দ্যোমি চিন্তাধারার বিপ্লব ঘটাতে পারবে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ