পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জমিতে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নগরীতে এক রেলওয়ে কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই কর্মচারির নাম জহুরুল ইসলাম (৪০)। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে। তিনি পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের পোর্টার পদে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। নগরীর হাজরাপুকুর এলাকায় রেলওয়ে মাঠের ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান। নিহত জহুরুল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পোর্টার ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে রেলওয়ের জমিতে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সজীব ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা জহুরুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রেলওয়ের আরেক কর্মী সজীবের বাবা মতিয়ারকে আটক করেছে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ে কলোনী থেকে পূর্বদিকে থাকা হাজরাপুকুর সংলগ্ন রেলওয়ে মাঠের পশ্চিম দিকে ঘটনাটি ঘটে। হাজরাপুকুর এলাকার বাসিন্দা ও রেলওয়ের পোর্টার জহুরুল তার বাড়ির পাশে রেলওয়ের একটি জায়গায় চাষাবাদ করতেন। সেখানে চাষাবাদ করেন রেলওয়ের অপর কর্মচারী মতিয়ারের ছেলে সজীব। চাষাবাদ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে রেলওয়ে মাঠের ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে সজীব ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জহুরুলকে হত্যা করে।

রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত জহুরুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/জেআই