মাদ্রাসাছাত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে ও অনৈতিক কর্মকণ্ডের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসাশিক্ষক খায়রুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বুধবার সকাল ১০ মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সামনে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ শতাধিক গ্রামাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
প্রথম স্ত্রী তাম্মানার ভাই আজহারুল ইসলাম বলেন, তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম সানার ছেলে মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম (৪০) গত ২১ নভেম্বর একই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শান্তা খাতুনকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
একপর্যায় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করলেও বর্তমানে তিনি তার কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
জানা যায়, খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগে গড়েরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি তামান্না খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তামান্নার পিতা মেয়ের সুখের জন্য জামাই মাদ্রাসাশিক্ষক খায়রুল ইমলামকে বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার যৌতুক দিয়ে স্বাবলম্বি করার চেষ্টা করে। এদিকে ঘরে স্ত্রী থাকা সত্বেও মাদ্রাসাছাত্রীর সাথে প্রেমে করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এদিকে গত ২৫ নভেম্বর যৌতুকের দাবি করায় খায়রুল ইসলামে বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন প্রথম স্ত্রী তাম্মানার ভাই আজহারুল ইসলাম।
সম্প্রতি মাদ্রাসাছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষককের এমন ঘটার বিচার ও তাকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ফজলুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এবিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ