নাসিক নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক মেনে নিবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরের দেওভোগ এলাকার শিশুবাগ স্কুলের তিন নম্বর কক্ষে ভোট দেন তিনি।
তিনি বলেন ‘জনগণ ইতিমধ্যেই নৌকাকে বিজয়ী করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দিন শেষে ফলাফল যাই হোক মেনে নেওয়ার মানসিকতা আমার আছে।’
আইভি বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত।’
নৌকার এই প্রার্থী বলেন, কিছু কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হয়েছে এবং ইভিএম ভোটদানে কিছু জটিলতা হয়েছে। এগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান এই মেয়র প্রার্থী।
এর আগে ভোটদানের আধা ঘণ্টা আগে ওই কেন্দ্রে পৌঁছান সেলিনা হায়াত আইভী। এরপর কিছুক্ষণ চারপাশ পরিদর্শন করে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। রোববার সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি অঞ্চলের (শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ) ১৯২টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মোট ওয়ার্ড ২৭টি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদরে ১৮টি ও বন্দর উপজেলায় ৯টি। মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১। ৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯২টি।
মেয়র পদে লড়ছেন ৭ প্রার্থী। সংরক্ষিত ৯টি নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৪ ও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪৮ জন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকা ও তৈমূর আলমের হাতি প্রতীক নিয়ে মূল আলোচনা চলছে। মেয়র প্রার্থী হিসেবে আরও আছেন খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ