ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

খুদে বার্তা পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো স্কুলছাত্রী

প্রকাশনার সময়: ১৩ জুলাই ২০২১, ১৯:১৯

খুদে বার্তা পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা করলো দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি মোবাইল নম্বরে (মুঠোফোনে) খুদে বার্তা পাঠায় টুপামারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দি দোকানি পাড়া গ্রামের সুলতান আলীর মেয়ে হাবিবা।

বার্তা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার নারী ভাইস চেয়ারম্যান সান্তনা চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান সুলতান আলীর বাড়িতে। কথা হয় মেয়েটি ও তার বাবার সাথে। বাল্যবিয়ের কুফল এবং শাস্তির বিষয়টি জানানো হয় তাদের। পরে অভিভাবকরা প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে দেবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং মুচলেকা প্রদান করেন।

দশম শ্রেণির ছাত্রী যে ভাবে খুদে বার্তা পাঠান

“আমি দশম শ্রেণির ছাত্রী। আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। আমার বাবা-মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিবে আজ রাতে। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার জীবনটাকে রক্ষা করুন। হাতজোড় করছি”।

ওই ছাত্রীর খুদে বার্তা পেয়ে রাতেই ছুটে যান ইউএনও জেসমিন নাহার।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সান্তনা চক্রবর্তি জানান, সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ইউএনও জানতে পেরে রাতেই আমরা দু’জনেই সেখানে হাজির হই।

ইউএনও জেসমিন নাহার জানান, সরকারি মোবাইল নম্বরে একটি খুদে বার্তা আসে আমার কাছে। বার্তা দেখে ঘটনাস্থলে যাই। মেয়েটির সঙ্গে এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিয়ের কুফল এবং শাস্তির বিষয়টি জানানো হয়। পরে অভিভাবকরা প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে দেবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং মুচলেকা প্রদান করেন।

বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া হাবিবা জানায়, আমি লেখাপড়া করতে চাই, মানুষের মত মানুষ হতে চাই। এরপর বিয়ে করার চিন্তা মাথায় আনবো। তার আগে বিয়ে করবোনা।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ