কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেরপুরে ৪২ মণ ওজনের সর্বাধিক বড় ষাঁড় ‘সুলতান’কে নিয়ে তোলপাড় চলছে জেলাজুড়েই। ওজন ও পছন্দের দিক দিয়ে এ অঞ্চলে কুরবানির পশু হিসেবে সেরা হওয়ায় সুলতানের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে এলেও আশানুরূপ ক্রেতা না পাওয়ায় এবং মূল্য না উঠায় হতাশায় ভোগছেন তার মালিক রুহল আমিন। জেলা প্রাণিসম্পদের অনলাইন গবাদি পশুর হাটেও ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সুলতানের।
জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের রাণীগাঁও গ্রামের পশু চিকিৎসক রুহল আমিন দীর্ঘদিন একটি এনজিওতে চাকরি করতেন। সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ব্র্যাকের মাধ্যমে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশু পালনের ওপর দু’দফায় ৪ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
এরপর চাকরি ছেড়ে গ্রামে গ্রামে পশু চিকিৎসার পাশাপাশি নিজে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কিনেন। সে গাভীর ৫ টা বাছুর বিক্রি করার পর জন্ম হয় সুলতানের। কানাডিয়ান সিমেনের ওই সুলতান ৩ বছর ৬ মাসে এক বিশাল দৈত্যে পরিণত হয়। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সুলতানের ক্রেতা নেই।
প্রাণিসম্পদের অনলাইন পশুর হাটে প্রচার করেও সুলতানের ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সুলতানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিক। দ্রুত ন্যায্য মূল্যে সুলতানকে বিক্রির আশা করছেন মালিক রুহুল আমিন। ১৩ জুলাই সরেজমিনে গেলে কথা হয রুহল আমিনের সাথে।
তিনি জানান, গত সাড়ে ৩ বছর ধরে সুলতানকে অতি আদর যত্নে লালন পালন করেছেন। ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার সুলতানের ওজন ১ হাজার ৬৭৬ কেজি। প্রায় ৪২ মণ। কিন্তু সুলতানকে বিক্রির জন্য স্থানীয়ভাবে কোনো ক্রেতা পাচ্ছি না। ক্রেতা পেলে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে দেব। একে লালন পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য।
তিনি আরও বলেন, সুলতানের দাম হেঁকেছি ২০ লাখ টাকা। এটাই সম্ভবত দেশের সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড়।
এ ব্যাপারে নালিতাবড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, সুলতানকে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়েছে। সুলতানকে বিক্রির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনলাইনে দিয়েছি। কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এত বড় গরু হাঁটে নিয়ে বিক্রি করাও সম্ভব না। বিক্রি করতে না পারলে সুলতানকে নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়বেন মালিক রুহল আমিন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ