বান্ধবীকে ম্যানেজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে (২১) গণধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। এঘটনায় ভিকটিমের কথিত বান্ধবীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিকটিমকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ফাঁদে ফেলে, নেশা খাইয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ চক্র। এ মামলার পলাতক আসামি আমেরিকা প্রবাসী আবু সাইদকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গত বুধবার রাত সিলেট নগরীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সোনিয়া বেগমের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ভিকটিম ছাত্রীর।
গত বুধবার সোনিয়া তার বান্ধবীকে বলেন, তার চাচা-চাচি আমেরিকা থেকে সিলেটে এসেছেন। নগরীর একটি বাসায় তারা থাকছেন। তাদের বাসায় সোনিয়া বুধবার রাতে থাকবেন এবং বান্ধবীকেও সঙ্গে থাকতে বলেন। অনেকটা জোর করেই বান্ধবীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান এবং আমেরিকা প্রবাসী আবু সাইদ ও আবু আহমদের হাতে কৌশলে তুলে দেন বান্ধবীকে।
রাতে বাসায় গিয়ে দেখেন চাচা-চাচি কেউ নেই। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক কক্ষে আবু সাইদ, আবু আহমদ মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বান্ধবী সোনিয়াও ধর্ষণ চেষ্টাকারীদের সাহায্য করে। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে গিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন এবং মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার এক ছেলে সহপাঠীকে জানান।
এরপর ওই সহপাঠীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও আবু আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সোনিয়ার কথিত প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টা মামলা ও পুলিশ বাদী হয়ে মাদ্রকদ্রব্য আইনে মামলা করেছেন।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ