ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারাগারে থেকেই বিজয়ী হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। এ ফলাফল রীতিমতো এলাকাবাসীকে চমকে দিয়েছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে তিনি জয়লাভ করেছেন।

মনিরুল ইসলাম তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের মৃত ফজর আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চে হওয়া হেফাজতের সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি জেলা কারাগারে রয়েছেন। তাকে মোট ১৪ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং ১২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

তিনি কারাগার থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে (আনারস প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৩ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭২ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত বছরের ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সহিংসতার মামলার আসামি মনিরুল।

এ ঘটনায় পৃথক ১৪টি মামলার আসামি হয়ে গত বছরের ২২ জুন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ইতোমধ্যে ১৩টি মামলায় জামিন হয়েছে মনিরুলের। তবে একটি মামলায় এখনও জামিন না হওয়ায় কারামুক্ত হতে পারেননি। কারাগারে বসেই ভোটে লড়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের এ নেতা। তার পক্ষে পরিবারের সদস্য এবং দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছেন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান বলেন, মনিরুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইসলামী ঐক্যজোট এবং ছাত্র খেলাফতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছে। তিনি এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়। সে জন্যই কারাগারে থেকেও নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/জিএস