সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের ফিরোজের গরু নবাব আর রইচপুর গ্রামের আমজাদ আলীর গরু পাগলা বস কোরবানি ঈদে প্রস্তুত রয়েছে। এদের দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে মানুষ। এই নবাব আর পাগলা বস প্রত্যেকটির ওজন ৩০ মণের বেশি। এমনিভাবে জেলায় সাড়ে ১১ হাজার খামারে ৫৬ হাজার ৪০১ টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাট না বসায় খামারি মালিকরা গরু বিক্রি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। আর জেলা প্রশাসক বলছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গরু বেচা-কেনা করতে হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুই গাছা গ্রামের ইদ্রিস আলী, কুশখালী গ্রামের ফিরোজ, রইচপুর গ্রামের আমজাদ ও বকচরা গ্রামের মজনু জানান, সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। এক সময় জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রচুর পরিমানে গরু আসত। এখন আর ভারতীয় গরু এদেশে প্রবেশ করে না। সে কারণে জেলায় দেশী ও শংকর জাতের পশুপালন বেড়েছে। তবে করোনার কারণে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে জেলায় এগারো হাজার ৫’শ পশুর খামার রয়েছে। এসব খামারে ৫৬ হাজার ৪’শ ১টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। খামার মালিকরা কোরবানির ঈদে এই পশু বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করেছে। কিন্তু করোনার কারণে হাট ব্যবস্থাপনা ও ক্রেতার সংখ্যা নিয়ে বেকায়দায় তারা। সাধারণ খামার মালিকরা বলছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তাদের। তবে তারা পশু ন্যায্য মুল্যে বিক্রি করতে চায়। সঠিক মূল্য না পেলে আগামিতে পশু পালন সম্ভব হবে না। তাদের দাবি সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে পশুর হাট চালু করতে হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, খামারিদের সব ধরণের সহযোগিতা করছে সরকার। জেলায় কোরবানির ঈদে ৪৮ হাজার ৯৫১টি পশুর চাহিদা রয়েছে। অতিরিক্ত পশু অন্য জেলায় বিক্রি করতে হবে।
সাতক্ষীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত পশুর হাট বন্ধ থাকবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গরু বেচা-কেনা করতে হবে ।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ