ঢাকার সাভারে তুরাগ নদে ভেসে উঠেছে প্রায় ৫ ফুট লম্বা ও ৩ মণ ওজনের একটি মৃত ডলফিন। স্থানীয়দের ভাষ্য, নদীতে শিল্প কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত হয়ে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে ডলফিনটি মারা গেছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) বিকেলে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার ঘাট এলাকায় মৃত ডলফিনটি দেখতে পান জেলেরা। পরে সন্ধ্যায় সেটিকে জাল দিয়ে তীরে উঠান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, বিকেলে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার ঘাটে মাছ ধরছিলেন কিছু জেলে। এসময় বিশাল আকারের ডলফিনটিকে মৃত ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে জালের মাধ্যমে ডলফিনটি তীরে তুলে আনা হয়। ডলফিনটির মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো। মূলত নদীর পানিতে শিল্প কারখানার নির্গত মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত থাকায় ডলফিনটি মারা গেছে। তবে এর আগে কখনও এই নদীতে ডলফিন দেখা যায়নি। তাই মৃত ডলফিনটিকে দেখতে তীরে অনেক মানুষ ভীড় করেছিল।
সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার বলেন, আমি আপনার পাঠানো ছবিটা দেখলাম। এটা হলো গ্যাংগিজ ডলফিন বা বাংলায় হলো গাঙ্গের শুশুক। এটা পদ্মা ও যমুনা নদীতে এর অভয়াশ্রম ছিলো এক সময়। মূলত এরা স্তন্যপায়ী জাতীয় প্রাণি। তবে এই অঞ্চলে গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এরকমের শুশুক দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। তবে বুড়িগঙ্গাতে ওই সময় দেখা যেত। হয়ত কোন ভাবে বুড়িগঙ্গাতে এসেছিলো।
কি কারণে মারা যেতে পারে এমন প্রশ্নে বলেন, 'আসলে বিভিন্ন কারণে এটা মারা যেতে পারে। কারণ ঢাকার আশপাশের পরিবেশ প্রতিবেশটা দূষণের কারণে জলজ জীববৈচিত্রের কারণে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। সেই সাথে এই প্রাণির যে খাদ্যাভাস সেটা তুরাগ নদীতে এখান নেই। বিষাক্ততা, খাদ্য স্বল্পতা, কোন রোগে আক্রান্তের কারণেও এটা মারা যেতে পারে। মৃত্যুর কারণটা নিশ্চিত ও গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তবে এরপর যদি ওই নদীতে এটা চোখে পড়ে তাহলে যেন অবশ্যই আমাদের জানানোর অনুরোধ রইলো।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ