ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাবারের সন্ধানে পর্কে ঢুকে পড়লো ১৩ বন্যহাতি

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৫৪
কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে বন্য হাতির একটি দল। খাবারের সন্ধানে এসে পার্কে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন মাসের মাথায় ফের ঢুকে পড়া এবারের দলে রয়েছে ছোট বড় ১৩টি বন্য হাতি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর রাতে পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের সীমানা দেওয়াল গুঁড়িয়ে দিয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দলটি।

এসব হাতি বর্তমানে পার্কের জীববৈচিত্র্য জোন এলাকায় অবস্থান করছে। অবশ্য পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তৎপরতায় তিনটি হাতি বেরিয়ে লামা সীমান্তের গহীন জঙ্গলে চলে যায় এবং বাকি হাতিগুলো এখনো পার্কে অবস্থান করছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পার্কের জীববৈচিত্র্য জোন এলাকায় ঢুকে পড়া হাতির দলে রয়েছে ছোট-বড় ১৩টি বন্যহাতি। তন্মধ্যে তিনটি হাতি ভোরের আলো ফোটার পর বেরিয়ে গেলেও বাকি ১০টি হাতি পার্কের বন্যপ্রাণী আবাসস্থল উন্নয়ন এবং চারণভূমি সৃজনের তিনটি প্রকল্পের দুইশ হেক্টর এলাকায় সৃজিত ফলদ ও বনজ বাগানে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেখানে খাবারের নিরাপদ আবাস খুঁজে পাওয়ায় কোন ভাবেই বন্যহাতি গুলোকে সরানো যাচ্ছে না।

এই অবস্থায় পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীববৈচিত্র্য জোন এলাকায় কড়া পাহারা বসিয়েছে। যাতে হাতিগুলো পার্কের বিভিন্ন বন্যপ্রার্ণী বেষ্টনী তথা পর্যটক-দর্শনার্থীদের ঘুরে-বেড়ানোর জায়গায় আসতে না পারে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সীমানার কাছের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাতির পাল ঢুকে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোন সময় লোকালয়ে বন্যহাতি হানা দিতে পারে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে খাবারের সন্ধানে শাবকসহ ১৯টি বন্যহাতির একটি পাল পার্কের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়।

ওই সময় পার্কের ১০০ হেক্টরজুড়ে সৃজন করা চারণভূমির বনায়নের প্রায় ৭০ হেক্টর বাগান একেবারে নষ্ট করে হাতিগুলো। এবারও একটি হাতির পাল সেই বাগানে হানা দিয়েছে। তাই পার্কে আগত পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভ্রমণের স্থান তথা পার্কের বন্যপ্রাণীর বেস্টনী এলাকায় যাতে হাতিগুলো চলে আসতে না পারে সেজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খাবারের সন্ধানে প্রতিনিয়ত হাতির পালটি সাফারি পার্কে ঢুকে পড়ে। এই অবস্থায় পার্কের পর্যটক-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ