খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় বাবা এনামুল হক এন্টাকে (৫০) খুন করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিল ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির (১৮)। দীর্ঘ ৭ মাস পর ঘটনাটি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতক ছেলে ও তার সহযোগী জুম্মানকে (৪০) বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার বিকেলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে মরদেহের হাড্ডি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক নিয়ামুল নিজে তার বাবাকে হত্যার বিষয় স্বীকার করে।
আটকদের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ৯ মে বাবাকে মসলা বাটা শিল দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে হত্যা করে ছেলে। পরে তার সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে মরদেহটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে তারা বাবা এনামুল হক এন্টা কোথাও চলে গেছে বা পানিতে পড়ে মারা যেতে পারে বলে এলাকায় প্রচারণা শুরু করে। এনামুল হক এন্টা আগে থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল বলে স্থানীয়রা তা সহজে বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন।
এদিকে গত বুধবার সকালে ঘাতক ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির ও তার ছোট ভাই নাঈমের (১১) মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাঈম চিৎকার চেঁচামেচি করে বাবা হত্যার বর্ণনা সবাইকে জানিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ঘাতক ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির পালিয়ে যায়। ছোট ছেলে নাঈমের বক্তব্যের জেরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়ার পর, পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্র মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ