সাভারের আশুলিয়া থেকে মানবপাচার ও পার্লারের আড়ালে দেহ ব্যবসার অপরাধে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আশুলিয়া থানার পাড়াগ্রাম এলাকার শাহীন খান (২৮), সেলিনা আক্তার (৩৫) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (৩২)।
মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
র্যাব জানায়, একাধিক ভুক্তভোগী র্যাব-৪ এর কাছে শাহীন খানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিসহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচার ও জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করার অভিযোগে শাহীন খান, সেলিনা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে আটক করে।
র্যাব আরো জানায়, শাহীন মাত্র ২৮ বছর বয়সে তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫টি বিয়ে করে। এবং শতাধিক নারীর সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। তার এই অসামাজিক ও অনৈতিক কাজের জন্য তার তৃতীয় স্ত্রী এবং মা তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত শাহীন ও সেলিনা আক্তার মাদক ব্যবসাসহ দেহ ব্যবসায় নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত করে। সেলিনা আক্তার একটি পার্লার ব্যবসার নামে নারীদেরকে নিয়ে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করত। পার্লারে মেয়েদের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়ার নাম করে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে বিপদগ্রস্থ করত। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী জান্নাতুল ফেরদৌস তার সাভার ব্যাংক কলোনীর বাসায় গ্রেফতারকৃত শাহীন ও সেলিনা আক্তারের সাথে মিলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দেহ ব্যবাসার স্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।
আটকদের বিরুদ্ধে মানব পাচার, পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ