নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ফসলি জমির মাটি কেটে অবৈধভাবে নির্মিত ইটভাটায় বেচা-কেনার মহোৎসব চলছে।
সূত্র জানায়, গত সোমবার সকালে মিঠাপুর ইউপির উজালপুর গ্রামে রাস্তার ধারের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে ঐ গ্রামের বানু কুমার ডান্ডা ও মানিক। এসকেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কর্তন করায় রাস্তা হুমকীর মুখে পড়ে। এসময় পাশের জমির আইল পর্যন্ত কেটে ফেলেন তারা। মাটি দস্যুরা এমনভাবে মাটি কাটছে যাতে করে পাশের জমি মাটি কাটার জন্য ছেড়ে দিতে বাধ্য হন জমির মালিক।
এই অবস্থায় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাটি কাটতে বাঁধা প্রদান করেন এবং সড়কের ধার কেটে ফেলায় ভেকু মেশিন আটকে দেয়। অপরদিকে গ্রামবাসী প্রতিবাদ মুখর হওয়ায় নিজেদের সামলাতে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে মাটিবাহী ১০টি ট্রাকটর।
গ্রামবাসী হারুন ও তাপস কুমার জানান, তাদের জমির আইল পর্যন্ত কেটে নেয়া হয়েছে। এখন সড়কের পাশাপাশি তাদের জমি হুমকীর মুখে। গ্রামের মেম্বার অসিত কুমার ও মামুনুর রশিদ জানান, সৃষ্ট গর্ত ভরাট না করলে রাস্তা ভেঙ্গে যাবে। এরফলে রিক্সা-ভ্যান না চললে মানুষ মাঠের ধান ঘরে তুলতে পারবে না। চরম ভোগান্তির শিকার হবে গ্রামবাসী এজন্যই তারা বাঁধা প্রদান করেন। গ্রামবাসীর দাবি, গর্ত ভরাট করে যেনো ভেকু মেশিন নিয়ে যায়। তবে, তথ্য সংগ্রহকালে ঘটনাস্থলে ভেকু ড্রাইভারকে পাওয়া যায় নি তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী আরো জানান, কসবা রহিমপুর গ্রামে জুয়েল আব্দুস সালামের ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রির মহৎসব কারবার চলছে। এ ছাড়া চলছে গন্ধর্বপুর, ভান্ডারপুর, মিঠাপুর, বদলগাছী সদরের উত্তর পাশে নদীর পার কেটে মাটি বিক্রি এবং নালুকা বাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে মাটি কেটে বিক্রি করায় হুমকীর মুুখে আশ্রয়ণ প্রকল্প।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের লোকজন জানান, তারা বাঁধা দিলে শুনছেন না। এ বিষয়ে মিঠাপুর ভূমি অফিসের তহসিলদার শ্রী অধীর চন্দ্র সাহার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, দিনে বাঁধা দিলে বাঁধা উপেক্ষা করে রাতে রাতে মাটি কাটে। জমির মালিকসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ যারা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তহসিলদারকে নির্দেশ দিয়েছি।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ