সয়াবিনের চরা দামে অবহেলায় পরে থাকা সরিষার কদর আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা কারো অজানা নয় বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আবারো সরিষার তেলের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
সরিষা সম্পর্কে বলতে গেলে, সরিষা বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর উৎপত্তিস্থল এশিয়া। ভারতীয় উপমহাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালীন রবি শস্য হিসেবে সরিষার চাষ করা হয়। সরিষার গাছ দৈর্ঘ্যে ১ মিটার মত হয়, তবেরাই সরিষা ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।
উল্লেখ্য, সরিষা মূলত একটি তৈলফসল। সরিষা বাংলাদেশের প্রধান ভোজ্য তেল। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে (২০২০) এর সরিষা আবাদ করা হয়। বিভিন্ন জাতের সরিষার বীজে প্রায় ৪০-৪৪% তেল থাকে। বাংলাদেশে সরিষার তেলের উৎপাদনের বাৎসরিক পরিমাণ প্রায় আড়াই লক্ষ টন (২০২০)। সরিষার খৈলে প্রায় ৪০% আমিষ থাকে। বাংলাদেশে ৩ প্রকার সরিষার চাষ করা হয় যথা মাঘী সরিষা, রাই সরিষা ও ধলি সরিষা। বাংলাদেশে এর বেশ কিছু উচ্চ ফলনশীল প্রজাতি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক নিশিকান্ত বাসুদেব দৈনিক নয়া শতাব্দীকে বলেন, তিনি প্রতি বছর সরিষার আবাদ করেন এই বছরেও আবাদ করছেন। এই বছর বৃষ্টির কারনে দুই বার বীজ বপন করতে হয়েছে তাদের।
এ বছর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ব্যাপক পরিমাণে সরিষার চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষকেরা। অনুকূল আবহাওয়া ভালো জাতের সরিষার বীজ বপন করায় মাঠ হলুদ আর মৌমাছিদের কলহলে ভোরে উঠেছে।
এই বিষয়ে কৃষি অফিসার সুদর্শন শিকদার দৈনিক নয়া শতাব্দীকে বলেন, গত বছর ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবার করা হয়। এই বছর প্রায় ১৩০হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা করেছি। এই অঞ্চলে মূলত রাই ও বারি জাতের সরিষার আবার করা হয়। আমরা কৃষকদের প্রণদনার মাধ্যমে সার ও বারি বীজ প্রদান করি। বারি একটি উন্নত জাতের সরিষা, এর বীজের প্রায় ৪৩% ওকে ৪৪% তেল উৎপাদণ হয়।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ