সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এমরান হোসেনের সমর্থকদের সংঘর্ষে এক রিকশা ম্যাকানিকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার রাত পৌনে ১০ টার দিকে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম আব্দুস সালাম (৫০)। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ রাম্পা গ্রামের বাসিন্দা। আব্দুস সালাম স্থানীয় বৈটিকর বাজারে দীর্ঘদিন থেকে ম্যাকানিকের কাজ করে আসছিলেন।
রোববার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফুলবাড়ি ইউনিয়নে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী আব্দুল হানিফ খান। ফলাফল ঘোষণার পরই চশমা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কের বৈটিকর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। অবরোধ সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় বৈটিকর বাজারের অন্তত ২৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হলে তাৎক্ষনিক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত আব্দুস সালামের ভাতিজা জাফরান আহমদ।
এ ব্যাপারে জানতে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ