নিয়তি যদি খারাপ হয় তাহলে যা হয় তাইতো প্রবাদে আছে ‘অভাগা যেদিকে চায় সাগর ও শুকিয়ে যায়’। ঠিক এমনি হতভাগা জীবন নিয়ে জন্ম হয় প্রতিবন্ধী আলিফার। মা প্রতিবন্ধী বাচ্চা প্রসব করায় ১২ বছর আগে ছেড়ে চলে গেছেন বাবা। আলিফার বয়স এখন ১০ বছর।
আলিফার মা গঙ্গাধরদী নিবাসী ছাত্তার শেখের মেয়ে চম্পা বেগম (৩৫) প্রায় ১২ বছর আগে খুলনার দৌলতপুরে বিয়ে হয়। এর পরে প্রতিবন্ধী আলিফার জন্ম হলে বাবা ছেড়ে চলে যায়। অনেক দেন দরবার করেও শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স হয়ে যায় চম্পা বেগমের সাথে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল খন্দকার বলেন, চম্পা বেগম খুবই অসহায় ওর স্বামী ওকে পরিত্যাগ করে চলে গেছে। খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছে। ওরা যদি আমাদের গ্রামের ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটা ঘর পায় তাহলে ওদের (মা-মেয়ের) জন্য ভালো হতো।
এই বিষয়ে স্থানীয় কৃষক হালিম শেখ বলেন, চম্পা আসলেই খুব গরিব। ওর বাবা তেমন কোন তালুক (জমি) নেই। ভাইয়েরা ও গরিব যে যার পেটের দায়ে কামলা (কাজ) করে। দেখলাম আমাগো গেরামে (গ্রামে) সরকার ঘর দিবে আপনার যদি ওর একটি ঘর দিবার পারেন তাইলে চম্পা আর ওর মেয়ের একটা ব্যবস্থা হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজিম উদ্দিন দৈনিক নয়া শতাব্দীকে বলেন, ঘারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী গ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব শতবর্ষের উপহার ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়ছে। যদি সে প্রকৃত ভূমিহীন হয় তাহলে তাকে অবশ্যই ঘর দেওয়া হবে। তাকে আমাদের অফিসে আবেদন করতে বলেন আমরা বিবেচনা করবো।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ