সিলেট জেলার দুই উপজেলার ২০ ইউপিতে চলছে তৃমুখী লড়াই। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এবারও দলীয় প্রতিকে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে স্বতন্ত্রের মোড়কে ভোটে অংশ নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামির প্রার্থীরা। দুই উপজেলার ছয় ইউপিতে বিদ্রোহীতে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকালে ভোটগ্রহণের শুরুতেই নারী-পুরুষ উভয়ে শ্রেণির ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা, শরিফগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুড়ারবাজার, মাতিউরা, তিলপাড়া ও লাউতা ইউনিয়নে ১ জন করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়েছেন মোট ৬ জন।
তাদেরকে মাঠ থেকে সরাতে না পারায় বহিষ্কারও করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু মাঠ থেকে সরাতে না পারায় নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। অপরদিকে দুই উপজেলায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মোট ১৯ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন। এছাড়া গোলাপগঞ্জের ৫টি ও বিয়ানীবাজারে ৩টি ইউপিতে জামায়াতে ইসলামীর স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
তবে ভোটের পরিবেশ নিয়ে এখনো সন্তুষ্ট ভোটাররা। সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। প্রতি কেন্দ্রে দুটি, কোন কেন্দ্রে তিনটি সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। সকাল থেকেই সারিগুলো বেশ দীর্ঘ রয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯ টায় বারকোট বাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে কথা হয় হালিমা বেগম নামের এক নারীর সাথে। তিনি জানান, ভোট সুন্দর হচ্ছে। সকল মানুষ ভোট দিচ্ছেন।
এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কবির আহমদ। তার সাথে কথা বলে জানা যায় ২৬ শত ৯৮ ভোট। ইতোমধ্যে কাস্ট হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। ভোটের পরিবেশও শান্তিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
তফসিল অনুযায়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- গোলাপগঞ্জ সদর, বাঘা, ফুলবাড়ী, লক্ষীপাশা, ঢাকা দক্ষিণ, লক্ষণাবন্দ, ভাদেশ্বর, পশ্চিম আমুড়া, উত্তর বাদেপাশা, শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন। এছাড়া বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টির মধ্যে রয়েছে আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাতিউরা, তিলপাড়া, মুল্লাপুর, মুড়িয়া, লাউতা ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০ টি উপির জন্য মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯৪ টি। এসব ইউপিতে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৯৭ জন। যার ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪ শত ৩৫ টি। প্রতি উপজেলায় র্যাবের দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং টিম, প্রতি উপজেলায় বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য মাঠে রয়েছে। রয়েছে এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স।
সিলেট জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়া বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণে যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তায় ৫ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার নিয়োজিত আছেন। দুই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ