ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গৃহবধূ আরিফা খাতুন সোমা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পরিবারসহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মেইনবাস্ট্যান্ডে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে।
সোমা কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। সদর উপজেলার দক্ষিণ কাষ্টসাগরা গ্রামে আকিদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। তাদের চাঁদ নামে ৯ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শনিবার সকালে স্বামীর বাড়িতে নিজ ঘরে গলাই ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যার পর গলাই ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের সদস্য সবাই পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর বাবা নুর ইসলাম জানান, ‘আমার জামাই বিদেশ ছিল। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। দুই বছর পর বাড়িতে আসে। সম্প্রতি আবারো বিদেশ যাওয়া জন্য আমার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু হয়। প্রায়দিনই মেয়েকে মারধর করতো। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে মারা গেলে জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।’
ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই দিপঙ্কর মালাকার জানান, পরিবারের সদস্যদের জিডির মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। তবে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুরতহালের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। তবে অভিযুক্ত পরিবারের কোন সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এমমন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ