ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউপি নির্বাচন ঘিরে কেশবপুরে বাড়ছে সহিংসতা

প্রকাশনার সময়: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:০৩

যশোরের কেশবপুর উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা বাড়ছে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেয়া, ভাংচুর, হামলা, মামলা, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদান, মোটরসাইকেলের মহড়া, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সভা-সমাবেশ করার ঘটনা ঘটছে।

কয়েকজন প্রার্থী রিটানিং অফিসার ও থানায় অভিযোগও করেছেন। কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দাবি করেছেন।

যশোর নির্বাচন অফিস মতে, ৫ জানুয়ারি কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন প্রার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী উত্তম ঘোষের তাপসের মোড়স্থ নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর এবং পোস্টার পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় ভালুকঘর বাজারে প্রচারণা চালানোর সময় উত্তম ঘোষের সমর্থকদের মারপিট করেছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকরা।

উত্তম ঘোষ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শামছুন্নাহার লিলির ভাই মশিয়ার দফাদার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচনী সভার চেয়ার টেবিল পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।’

পাঁজিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মকবুল হোসেন মুকুল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জসিম উদ্দীন ও তার পক্ষের সমর্থক টিটো, ইমরান হোসেন, রাজু আহমেদ, মাসুম দাইসহ ১০/১২ জন গত ২২ ডিসেম্বর রাতে প্রচার কাজে বাধা সৃষ্টি, মারপিট করেন আমার সমর্থক মাসুদুজ্জামান, জাহিদ হাসান মিন্টু, আবু মুছা, শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামকে।

এছাড়া সেলিমের বাড়ি ভাঙচুর ও শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তার প্রচার গাড়ির চালক রাশিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে একটি মাইক সেট, দুইটি হর্ন, ২টি ব্যাটারি ও মাইক সেটের ভেতর থাকা একটি মেমোরি কার্ড নিয়ে গেছে।

২২ ডিসেম্বর রাতে মঙ্গলকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাসের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছেন বলে পরদিন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

গৌরিঘোনা ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মীরা বুধবার রাতে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাসুদুর রহমানের কর্মীদের মারপিট করে আহত করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ