ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে এখন বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুল। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে যত দূর চোখ যায়, শুধু সবুজ সরিষা ক্ষেত আর হলুদ ফুলের সমারোহ। প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় এ মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে ৯৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, টরি ৭, বারি ১৪, ১৭, বিনা ৪,৯ ও স্থানীয় সরিষা। গত মৌসুমে ৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছিল। কৃষি অফিসের তদারকি এবং কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার ফলে এইবার ১৩ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। জমি উর্বর হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশায় কৃষক সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৬ শতাধিক চাষিকে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণে বীজ সহায়তা হিসেবে ১২০ জন চাষিকে বীজ প্রদান করা হয়েছে।বীজ সহায়তার আওতায় আরও ২০০ জন কৃষককে বীজ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলার গাংগাইল, রাজগাতী, শেরপুর, নান্দাইল, খারুয়া, আচারগাঁও, চন্ডীপাশা ও চরবেতাগৈর ইউনিয়নে সরিষা চাষ বেশি লক্ষ্য করা যায়। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগাতে সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। এতে করে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। অন্যদিকে, সরিষা ক্ষেতের পাশে কৃত্রিম মৌচাক বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছে মৌ চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠ তদারকি, সরকারি প্রণোদনা বীজ, সার প্রদান করায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঠা প্রতি (১০ শতাংশ জমিতে) দুই থেকে আড়াই মণ সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। ভালো যত্ন নিলে প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ মণ পর্যন্ত সরিষা উৎপাদন হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ফলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সরিষা চাষের ৪৫টি প্রদর্শনী প্লট রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ