রাকিবুল ইসলাম ও তাছলিমা আক্তার। অসহায়, দরিদ্র পরিবারের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী। কোন প্রতিবন্ধিকতা আর দারিদ্রতা হার মানাতে পারেনি তাদের অদম্য মেধাকে। সকল দারিদ্র্যকে জয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন অদম্য মেধার এই দুই শিক্ষার্থী।
কৃষক পরিবারের সন্তান রাকিবুল ইসলাম। বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় 'ক' ইউনিটে ২০৯৪তম হয়ে গণিত বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হলেও পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় ভর্তি হতে পারছিলেন না। অপরদিকে তাছলিমা আক্তারের বাড়ি পলাশাবাড়ী উপজেলার মনোহরপুরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'খ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ৩৯৪তম স্থান অধিকার করে ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এই দুই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছিলেন না। এটা লোক মারফত শুনে মেধাবী এই দুই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। তিনি বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাদেরকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন এবং যে কোন প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন মুঠোফোনে নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘আজ তাদের ভর্তির জন্য টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ওরা বললো, সাত হাজার করে একেকজনের ভর্তি ফী লাগবে। আমি সাথে সাথেই ওদেরকে দশ হাজার করে বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এই দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর একজনেরও বাবা বেঁচে নেই। ভীষণ অভাবগ্রস্ত পরিবারের সন্তান ওরা। টিউশনি করে কোনরকম সংসার এবং লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছে।’
ভবিষ্যতে তাদের প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
ভর্তির শেষ দিনে আর্থিক সাহায্য পেয়ে দুই মেধাবী শিক্ষার্থী রাকিবুল এবং তাছলিমা ভীষণ খুশি। জেলা প্রশাসকের এমন মহতি উদ্যেগের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তারা নিজেরাও ভবিষ্যতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ