হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পদত্যাগকারী মেয়র জিকে গউছকে প্রধান আসামী করে ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আটক ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার মধ্য রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবারের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে মোট ১২শ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৯০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলায় জি কে গউছকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক সেলিমকেও আসামী করা হয়।
মামলায় বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীদেরও আসামী করা হয়েছে।বুধবার (২২ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করানোর দাবিতে বুধবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জে সমাবেশ আহ্বান করে জেলা বিএনপি।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শহরের শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রস্তুতিও নেয়া হয়। এতে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, ড. এনাম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ, কেন্দ্রীয় নেত্রী শাম্মি আক্তার, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ শ্যামল। বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।
কিন্তু পৌনে ২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় শায়েস্তানগর পয়েন্টে পুলিশের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭০ জন আহত হয়। প্রায় ১ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ