ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাজুল ইসলাম মৃধাকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী নিগুয়ারী ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউল ইসলামের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ খবরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খন্দকার দিলুরুজ্জামান সমম্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হাদিউল ইসলামের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।
জানা যায়, নিগুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর প্রার্থীতা যাচাই-বাছাইয়ের দিন নিগুয়ারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাদিউল ইসলামের প্রার্থীতা বাতিল করেন। প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাদিউল ইসলাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আপীল করে। গত ১৫ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আপীল শুনানীতে হাদিউল ইসলামের প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ফলে নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাজুল ইসলাম মৃধাকেবিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। গত ২০ ডিসেম্বর রির্টানিং কর্মকর্তাগণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাজুল ইসলাম মৃধাকে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাদিউল ইসলাম হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খন্দকার দিলুরুজ্জামান নিয়ে গঠিত বেঞ্চ তাজুল ইসলাম মৃধাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। হাদিউল ইসলামের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নামে প্রতীক বরাদ্ধসহ নির্বাচনের সকল কার্যক্রমে তাকে অংশগ্রহণের সুযোগদানের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
হাদিউল ইসলামের আইনজীবি এডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, ‘হাদিউল ইসলামকে প্রার্থী রেখে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য হাইকোর্টের পক্ষ থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে হাদিউল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ি নিগুয়ারি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। আমি ভোটের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছি।’
এই নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্টদের অফিসিয়াল সিদ্বান্তের অপেক্ষায় আছি।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ