শিমুল শেখ পেশায় একজন গাড়ি চালক। দরিদ্র পরিবারের গৃহকর্তা। জন্ম নিবন্ধনে তার ছোট ছেলের বয়স বড় ছেলের চেয়ে দুই বছর বেশি। এখন বড় ছেলেকে ‘ছোট’ বানাতে ছুটছেন নানা দপ্তরে। ঘুরে ঘুরে তিনি হয়রান। কোন দপ্তর থেকেই তিনি সাড়া পাচ্ছেন না। এদিকে জন্ম নিবন্ধনের তারিখ মোতাবেক ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তির সময় হয়ে গেছে। এ নিয়ে মহাচিন্তায় পড়েছেন ড্রাইভার শিমুল।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শিমুল শেখের বড় ছেলে রুহান শেখের জন্ম ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। যার নিবন্ধন নং ২০১৮৪৪২১৬০৬১৪৫৭১৭। এটাই তার প্রকৃত বয়স বলে জানান তার মাতা পলি খাতুন। আর ছোট ছেলে সাহাবীর শেখ জন্মগ্রহণ করে ২০২০ সালে। বড় ভাইয়ের থেকে ছোট ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান দুই বছর। অথচ জন্ম নিবন্ধনে ছোট ছেলে সাহাবীর শেখের বয়স দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল, যার নিবন্ধন ২০১৬৪৪২১৬০৬১৪৫১৭৬। তারিখ জনিত এই ভুলের কারণে বিপাকে পড়েছেন ড্রাইভার শিমুল শেখ। তিনি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ঝিনাইদহ পৌরসভায় গেলে সেখান থেকে তাকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানেই আটকে যায় সংশোধনের প্রক্রিয়া। এখন তিনি কি করবেন বুঝতে পারছেন না।
ড্রাইভার শিমুল শেখ জানান, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে ছোট ছেলে সাহাবীর শেখের যে বয়স দেখানো হয়েছে তাতে আগামী বছর তাকে স্কুলে ভর্তি করতে হবে। অথচ তার বয়স মাত্র এক বছর। এই তারিখ বহাল থাকলে ১৪ বছর বয়সে ছোট ছেলে সাহাবীর পঞ্চম শ্রেনী পাশ করবে। টিকাদানের কার্ড দেওয়ার পরও ছেলের বয়স সংশোধন করতে পারছেন না।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শংকর নন্দি জানান, অভিভাবকের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। শিমুল শেখ আগে তার ছোট ছেলের জন্ম নিবন্ধন করেন। সেখানে তিনি ভুল তথ্য দেন। পরে তিনি তার বড় ছেলের জন্ম নিবন্ধন করেন। বড় ছেলের তথ্যটি সঠিক দিলেও ছোট ছেলের ক্ষেত্রে তথ্যগত ভুল করেন। তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের উপায় আছে। তিনি সেখানে উপযুক্ত প্রমান দিয়ে করে আসতে পারেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ