ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড-শীতে নাজেহাল চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশের মানুষ। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়াটা বেশ কষ্টের। এমন শীতের মধ্যেও ভোর থেকে অনায়াসে মাটি আর পানি দিয়ে ইটভাটায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শত শত শ্রমিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াশার মধ্যে ভাটার স্তুূপ থেকে গুলানো মাটি নিচ্ছেন বেশ কিছু শ্রমিক। সেখান থেকে ট্রলি দিয়ে আবার ইট বানানোর লাইনে মাটি নিচ্ছেন কেউ কেউ। সেখানে ইট বানিয়ে যাচ্ছেন আরও কিছু শ্রমিক। এভাবেই শীতের সকালে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে ইটভাটা শ্রমিকদের।
শ্রমিকেরা জানান, প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজ করতে হয় ইটভাটায়। তবে, বর্তমানে প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশার কারণে একটু দেরিতেই কাজ শুরু করতে হচ্ছে।
ইটভাটা শ্রমিক সিরাজ মন্ডল জানান, ইট তৈরি করার জন্য শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি, শীত হোক, আর যাই হোক! আমাদের সকলেরই ভোরে উঠতে হয়। না হলে হাজরে হবে না। তবে, শীত ও কুয়াশার দিনে একটু দেরিতে কাজ শুরু করি। আর কাজ শুরু করলে কাজের ব্যস্ততায় শীত-কুয়াশার কথা মনেই থাকে না।
আরেক শ্রমিক কামাল জানান, আমরা অন্যদিনে অন্তত ১৬ হাজার ইট তৈরি করি। কিন্তু এ শীতের দিনে ১০ হাজারের বেশি করতে পারছি না। এতে আমাদের হাজিরা কম হচ্ছে।
মহিলা শ্রমিক শিউলি জানান, আমরা ভোর থেকেই মাটির স্তুূপ থেকে মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে মেশিনে দেয়া শুরু করি। শুরুতে শরীরে শীতবস্ত্র থাকলেও পরে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে খুলে রাখি। কাজ শুরু করার সময় কিছুটা শীত লাগলেও কাজ শুরুর পরে শীত পালিয়ে যায়।
এদিকে, তীব্র শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় ২০০ রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীর চাপ কম রয়েছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ শিশু ও বয়স্ক রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে রোগীর চাপ বাড়বে পারে বলে জানিয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ