ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেয়েদের হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪৮

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিসে কক্ষের বিছানায় দু’শিশু সন্তানের লাশের সাথে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈদগাঁও থানার পুলিশ মরদেহগুলোসহ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক মো. আবদুল হালিম। তারা সিআইডির ক্রাইমসিন টিম আসার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ওসি।

ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘরের কক্ষের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত পাওয়া যায় তার স্ত্রী জিসান আকতার (২৫)কে। বিছানায় পাওয়া যায় তাদের দু’মেয়ে সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিন (২)’র মরহেদ। বিকাল ৫টার দিকে তাদের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নূর মোহাম্মদ জানান, শহিদুল হক ও তার ভাই জিয়াউল হক লবণের ব্যবসা করেন। বুধবার সকালে লবণ নিয়ে শহিদুল হক মহেশখালী গেছেন বলে জেনেছি। সন্ধ্যায় আমরা যখন পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই তখনও শহিদুল হক কর্মস্থল থেকে ফিরেননি।

ওসি আবদুল হালিম জানান, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে দু’শিশু সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে দেখতে পায় রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। রুমের খাটে দু’শিশুর মরদেহ পড়ে আছে আর মায়ের দেহটি ঝুলছিলো ফ্যানের সাথে। কি কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি আবিস্কার করতে সিআইডির ক্রাইম টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অল্পসময়ে ব্যবসায় সফলতা পেয়ে তার পরিবার ভালোই চলতো। কিন্তু পরিবারে কোন ধরণের কলহ ছিলো এমনটি জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েদের বিষ খাইয়ে মারার পর নিজেই ফাঁসিতে ঝুললো শহিদুল হকের স্ত্রী। তবে, কী কারণে, কীভাবে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো এখনো তা স্পস্ট নয়।

ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, দ্বিতল বাড়িতে জিয়াউল হক নিচে ও শহিদুল হক উপরে বাস করছেন। শহিদুলের শোবার ঘরেই মা-মেয়ের মরদেহগুলো দেখা যাচ্ছে। পুলিশকে মরদেহ উদ্ধার করতে না দিয়ে সিআইডির অপেক্ষা করছেন মেয়ের বাবার পরিবার। উল্লেখ করার মতো কোন পারিবারিক কলহের কথা কেউ জানাতে পারছেন না।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ