খেঁজুরের গুড়ের নাম শুনলেই যে এলাকার নাম সবার আগে আসে তা হলো ফরিদপুর। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেঁজুর গাছ নেই তেমন গাছিও।
অথচ মরতে মরতে বেঁচে থাকা ফরিদপুরের গুড়ের ও বিবর্তনে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই এখন খেঁজুরের গুড়ের পাটালি তৈরি হয় একটি সুদর্শন বক্সে। ধূলা বালি ময়লাতো দূরের কথা একটি মাছিও বসতে পারে না।
এই বিষয়ে খেঁজুরের গুড়ের উৎপাদনকারী আক্কাস আলী শেখের সঙ্গে দৈনিক নয় শতাব্দীর কথা হলে তিনি জানান, ‘আজ কাল মানুষ ভালো গুড়ের সঙ্গে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা, গাছ থেকে রস নামানোর আগে হাঁড়ির মুখ ঠিক ভাবে বাধা থাকে কিনা তা অনেকেই প্রশ্ন করে। তাই গুড়ের মান ভালো ও স্বাস্থ্য সম্মত করার লক্ষ্যে আমি এই বক্সের ভিতরে সুরক্ষিত ভাবে রাখি। যাতে কোন ধুলা ময়লা কিংবা মাছি না পরে।’
এই বিষয়ে স্থানীয় খেঁজুরের ক্রেতা রিনা বেগম (৩৫) নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘খেঁজুরের গুড় ছারা আমাদের শীতের মৌসুম চলে না। আর এখন স্বাস্থ্যকর অবস্থায় একটি প্লাস্টিক বক্সে পাচ্ছি খেঁজুরের গুড়। দামে সস্তা, নেই কোন ভেজাল। এই রকম খেঁজুরের গুড় কিনতে পারা বর্তমানে বাজারে দুস্কর।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আক্কাস আলী শেখ প্রতিদিন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌকিঘাটা ও ঘারুয়া বাজারে বিক্রি করেন এই অভিনব কায়দায় রাখা খেঁজুরের গুড়। তার বাড়িতেও খেঁজুরের গুড় কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ