দীর্ঘ বিরতির পর চলতি বছরের ১২ অক্টোবর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সে সময় সাত দিনের মধ্যে জেলা ও মহানগর কমিটির আংশিক (সুপার) কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে তিন মাস ৮ দিন পাড় হলেও হয়নি আংশিক কমিটি। তাই অপেক্ষমণাদের বাড়ছে হতাশা। কেউ রাজনীতি ছেড়ে হচ্ছেন প্রবাসী আবার কেউ কেউ বিয়ে করে সংসারী হচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটির সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নাজমুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাহেল সিরাজ। অপরদিকে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাইম আহমদ।
কিন্তু শুরুতে এ কমিটি নিয়ে সিলেটে হয় তুলকালাম কাণ্ড। এক পক্ষ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে নবগঠিত কমিটিকে ‘টাকার বিনিময় পকেট কমিটি’ হিসেবে উল্লেখ করে লাগাতার আন্দোলন করা শুরু করেন। এমনকি সংবাদ সম্মেলনও করেন আন্দোলনকারীরা।
মূলত সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে একাধিক বলয় থেকে একাধিক প্রার্থী থাকায় ঘোষিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের যোগ্যতা, অপরাধ সংশ্লিষ্টতা ও পারিবারিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে উঠে প্রশ্ন। তবে শেষমেশ আন্দোলনকারীরা সময়ের পরিক্রমায় নীরব হলেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পাওয়া অনেকেই পদপ্রত্যাখান করেন। আর বঞ্চিত অনেকে আবার আংশিক (সুপার) কমিটির আশায় বুক বাঁধেন।
একটি সূত্র জানায়, আংশিক কমিটিতে স্থান পেতে জেলা ও মহানগরে পৃথক ভাবে অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী দৌড়ঝাঁপে রয়েছেন। কিন্তু সে আশা এখন অনেকটা গুড়েবালি। এজন্য অপেক্ষমাণ থাকা অনেকেই ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ ক্ষোভে রাজনীতি ছেড়ে সংসারি হচ্ছেন। তবে শুরুতে মূল কমিটিতে একাধিক নেতাকর্মী দৌড়ঝাঁপে থাকায় উপস্থিত স্বান্তনা দিতেই কেন্দ্র কৌশল অবলম্বন করেছিলো বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সিলেট জেলা কমিটির সাবেক দায়িত্বশীল এক নেতা।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান বলেন, আমার দেখামতে বাংলাদেশের কোথাও কমিটি ঘোষণার পর আর আংশিক কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা হয়েছে তা দেখিনি। সুতরাং সিলেটেও এটা হবার কথা না। তবে বর্তমানে নেতাকর্মীরা অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন অন্তত আংশিক কমিটিতে স্থান পাবেন। সেটাও না হওয়ায় তারা রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন।
অবশ্য কেন্দ্র ঘোষিত পূর্ব সিদ্ধান্ত আংশিক কমিটির পরিবর্তে এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানালেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাহেল সিরাজ।
তিনি বলেন, নানা কারণে সময়মত আংশিক কমিটি হয়নি। তবে এখন আর আংশিক কমিটি না হয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব। দ্রুত সময়ের ভেতর জেলা ও মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাস্তবায়ন করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ