ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ময়মনসিংহে গরম পোশাক বিক্রির ধুম

প্রকাশনার সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:৩৬

কাগুজে হিসাবে শীতকাল শুরু হয়েছে ছয় দিন আগে। কিন্তু শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই। ময়মনসিংহে দিনে যেমন তেমন, কিন্তু রাত হলেই বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। পৌষের ঠান্ডাকে টেক্কা দিতে তাই শুরু হয়ে গেছে মানুষের প্রস্তুতি।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেট, নগরীর চড়পাড়া ও গাঙ্গিনাপাড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানে শীতের নানা ধরনের গরম পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও ভিড় করছেন সেইসব দোকানে।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক দিন থেকে শীতের প্রভাব বেশ বেড়ে যাওয়ায় গরম পোশাকের বিক্রিও বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব পোশাক কিনছেন। তবে দামে কিছুটা কম হওয়ায় অস্থায়ী বা ফুটপাতের দোকানগুলোতেই ভিড় একটু বেশি।

আবার মধ্যবিত্তদের অনেকেই ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন।দোকানিরা জানিয়েছেন, ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র সরবরাহ হয়েছে।

বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে ফুটপাত ও মার্কেটের দোকানগুলোতে নতুন/পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রি চলছে। এসব দোকানে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০-৫০০ টাকা দামের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

মিজান ও ইব্রাহীম নামে এক দোকানি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও শীতের কাপড়ের চাহিদা কম ছিল। গত কয়েকদিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। সারা বছর অন্য কাপড় বিক্রি করি। শীত আসলে শুধু শীতের কাপড়ই বিক্রি করি। পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রিতে লাভ একটু বেশি বলে জানান তারা।

মিজান মিয়া নামে হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী জানান, আমাদের মূলত খেটে খাওয়া মানুষেই বেশি আসেন। তাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে আমরা পুরাতন শীতের কাপড় দোকানে উঠিয়েছি। এবার বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

আনোয়ারুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, সামান্য বেতনে চাকরি করি। বড় মার্কেটে গিয়ে শীতের কাপড় কেনার টাকা নেই। তাই এই হকার্স মার্কেটে এসে কম দামে পুরাতন কাপড় কিনলাম। আরেক ক্রেতা সানজিদা আফিরিন বলেন, বেশ শীত পড়েছে। বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। আমাদের মতো পরিবারের ফুটপাতেই ভরসা।

একই মার্কেট থেকে শীতের পোশাক কিনতে এসেছিলেন জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছরের যেসব শীতের পোশাক কিনেছিলেন, তা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেটে শীতের পোশাক কিছুটা কম দামে পাওয়া যায় বলে এখানে এসেছেন তিনি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ