২০ বছর ধরে এক আয়া দিয়ে চলছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মেসি বিভাগ। ফলে প্রায় রোগীদের ভুল ঔষধ খেতে হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ আয়ার ফার্মেসি বিভাগ দক্ষতা না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় ব্যবস্থাপত্র আয়া বুঝতে না পারায় রোগীদের ঔষধের মাত্রা সবনের ক্ষেত্রেও ঘটছে বিপত্তি। এবিষয়ে আয়া আলেনা বেগমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ফার্মেসি বিভাগ ছাড়ার চিঠি দিলেও তিনি তা ছাড়ছেন না। অপরদিকে আয়া এবং সুইপার পদের কর্মচারীরা তাদের নির্দিষ্ট কাজ না করায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড ও ওয়াশ ব্লক গুলো অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের সোহান মিয়া বলেন, তিনি ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গেলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মেসি বিভাগের কর্মরত আয়া আলেনা বেগম ভুল ঔষধ দেন। ভুল ঔষধ দেয়ার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তাহার সঙ্গে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দ নগর গ্রামের ময়না মিয়া বলেন, এক ষ্টেশনে একই পদে ২০ বছর ধরে চাকুরী এটা সরকারি চাকরি বিধি পরিপন্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ১৯ জন নার্স এবং আউট সোর্সিং এর ১৬ জন কর্মচারী থাকার পরেও আয়া দিয়ে ফার্মেসি বিভাগ চলছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে আয়া আলেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, আয়া আলেনা বেগমকে ফার্মেসি বিভাগ ছাড়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি ফার্মেসি বিভাগ ছাড়ছেন না।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ