ঘুষ লেনদেন, দালালদের প্রাধান্য, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি, রেজিস্ট্রেশনের নামে অবৈধ বিভিন্ন ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে টঙ্গীবাড়ীর সাব-রেজিস্ট্রার স্বপন কুমারদে এর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ সাধারণ মানুষের, যারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছেন।
উপজেলার যশলংয়ের বাসিন্দা নূরে আলম সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ করেন, তার নামজারীকৃত, খাজনা খারিজ পরিশোধিত জমি সাব-রেজিস্ট্রার দুর্নীতির মাধ্যমে অপর ব্যক্তির নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। তাকে সহায়তা করেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মো. আরিফ।
ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগ জমি সাফকবলা বিক্রিতে খরচ প্রতি লক্ষ টাকায় রেজিস্ট্রেশন ফি ১%, ষ্ট্যাম্প ফি ১.৫%, স্থানীয় সরকার কর ৩%, উৎস কর ১%। হলফনামা ২০০ টাকা, ই ফি ১০০ টাকা, এন ফি প্রতি পাতা ১৬ টাকা, এন এন ফি ২৪ টাকাসহ কোর্ট ফি ১০ টাকা মিলিয়ে দলিল প্রতি ৬৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকাসহ দলিল লেখকের মজুরি। সব মিলিয়ে ৬.৫% খরচ হলেও দলিল লেখকরা সাব-রেজিস্টারের অফিস খরচের কথা বলে দলিল মূল্যের প্রতি লাখে ১০% থেকে ১১% হারে টাকা আদায় করছে।
উপজেলার দলিল লেখকরা জানান, সাংবাদিকদের নিকট সব কথা বলা যাবে না। পরে সাব-রেজিস্ট্রার তার পরিচিত লোক ছাড়া অন্যদের নানান সমস্যার কথা বলে দলিল ফেরত দিবে।
সোমবার সকালে নূরে আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক টিম আসে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। সেখানে ঘণ্টা ব্যাপি ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি নেয়া হয়।
টঙ্গীবাড়ির সাবরেজিস্ট্রার স্বপন কুমারদে জানান, দুদক তদন্ত কর্মকতারা তদন্ত করছে তারাই বলবে আমি অভিযুক্ত কিনা আমার নিজস্ব কোন বক্তব্য নাই।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ক্যাব সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, দীর্ঘ দিন যাবত একটা অনিয়ম চলছে তাও আবার খোদ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ভোক্তা অধিকার কার্যকর করা হউক।
দুদকের ডেপুটি পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ