মধ্যবিত্ত জীবনের নানা মাত্রিক অভিঘাতে জর্জরিত হয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে উত্তরাঞ্চলে হাড় কাঁপানো শীত। ইতোমধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডা বেড়েছে। ভোরের গাঢ় কুয়াশায় প্রকৃতিতে সূর্য্যের দেখা মিলছে না সহজে। গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেড লাইড জ্বালিয়ে।
খেটে খাওয়া বিপর্যস্ত মানুষেরা কোনো মতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় দিন পার করছেন। ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনই সময় বলে মনে করেন হতদরিদ্ররা। চলতি বছরের শীত মৌসুমে প্রথমবারের মতো উত্তরাঞ্চলসহ দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দেখা দিয়েছে। মুশকিলে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাব বেড়ে যাচ্ছে।
রাজশাহীতে রোদের প্রখরতা কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে সকাল-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশা। বেলা গড়িয়ে দেখা মিলছে সূর্যের। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৮৮ থেকে ৯৮। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেশ কমেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, রাজশাহীতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বেশি শীত পড়তে শুরু করেছে। রাজশাহীতে বর্তমানে মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। হিমেল বাতাস বইছে। যার কারণে শীত বাড়ছে। সামনে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ