ঘটেছে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, ভেঙেছে অপেক্ষায় প্রহর। অবশেষে কাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
২০০৫ সালে পলাশ হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ হয় পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সম্মেলন। এরপর অনেক খড়কুটো পেরিয়ে ১৭ বছর পরে আবারো অনুষ্ঠিত হচ্ছে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সম্মেলন। লাইট সাইন্ড আর ব্যানার ফেস্টেুনের চাদরে ঢাকা পরেছে পুরো জেলা।
পটুয়াখালী আবুল কাশেম স্টেডিয়াম আয়োজিত এ সম্মেলনের ছোঁয়া লেগেছে পটুয়াখালীর প্রত্যেকটি উপজেলা গুলোতেও। হাজার হাজার নেতা কর্মীদের আনাগোনায় শহর মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রধান পদ-পদবি পেতে দৌড় ঝাপ করছে প্রায় ডজন খানেক নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রত্যেকেই অবলম্বন করছেন ভিন্ন ভিন্ন কৌশল।
২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক পটুয়াখালী ১ সাংসদীয় আসনের এমপি পুত্র অ্যাড. আরিফুজ্জামান রনিকে আহব্বায়ক করে জেলা যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর ঠিক ৮ বছর পরে কাল জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
পটুয়াখালী জেলা যুবলীগে যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদ জনান, আমি র্দীঘদিন পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক পদে দায়িত্বরত ছিলাম। স্বচ্ছতার সাথে সংগঠন পরিচালনার চেষ্টা করেছি। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সাবেক ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান এবং ত্যাগীরা কমিটিতে স্থান পাবে এমন প্রত্যাশা করি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, ‘আমি সম্মেলনের ব্যাপারে প্রথমেই বলতে চাই ২০০৫ সালে পলাশ মার্ডারের পরে বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ায় এ সম্মেলন দেয়া হয়। এ সম্মেলনে আহসান হাবীব খান সভাপতি ও কাওসার সেক্রেটারি হয়। এর পর কিছুদিন আহসানের নেতৃত্বে যুবলীগ খুব ভালোভাবে চলে। আহসান মারা যাওয়ার পরে পটুয়াখালীতে একটি আহব্বায়ক কমিটি হয়। সেই আহব্বায়ক কমিটির বয়স আজ আট বছর। আট বছর পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃত্বে আজ সম্মেলন হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশ্যা করি একটি যুগোপযোগী কমিটি আমাদের উপহার দেবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ। দ্বিতীয় কথাটি হচ্ছে, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কোন সুযোগ নেই। একদিকে আমরা, অন্যদিকে প্রশাসন রয়েছে। তারপরেও যদি কেউ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তবে তার দায়ভার সে নিজে নেবে এবং তার ফল সে নিজেই ভোগ করবে।
পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মাহফুজুর রহমান জানান, পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পর্যাপ্ত পরিমান নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়োন্দা বিভাগসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রনির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এছাড়াও আরো উপস্থিত থাকবেন পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাড. শাহজাহান মিয়া ও বাউফল-২ আসনের এমপি আসম ফিরোজ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠিনক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, কলাপাড়া-৪ আসনের এমপি মো: মুহিব্বুর রহমান মুহিব, গলাচিপা-দশমিনা-৩ আসনের এমপি এসএম শাহাজাদা, নারী সাংসদ কানিজ সুলতানা হেলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন সহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
নয়া শতাব্দী/জেআেই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ