দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে পুরো পটুয়াখালী জুড়ে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী সোমবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সম্মেলন।
এরইমধ্যে জেলা যুবলীগের এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পায়রা সেতু সহ পুরো জেলা ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে। জেলা যুবলীগের পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিজেদের উপস্থাপন করতে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা, সেতু, এমনকি অলি-গলি ভরিয়ে ফেলেছে ব্যানার ফেস্টেুনে।
পটুয়াখালীতে ঢোকার মুল প্রবেশ দ্বার নব নির্মিত পায়রা সেতুতেও দেখা গিয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনের ভরপুর সাজসজ্জা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই ব্যানার ফেস্টুনের কারণে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, একটি দলীয় এত বড় একটি অনুষ্ঠানে সবাই ব্যানার-ফেস্টুন লাগাবে এটিই স্বভাবিক।
এরআগে, ২০১৩ সালে এ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান রনিকে আহব্বায়ক ও এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম শহীদকে যুগ্ন আহ্বায়ক করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় যুবলীগ পটুয়াখালী জেলার আহব্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এর ঠিক ৮ বছর পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সম্মেলন।
জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহব্বায়ক এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, পটুয়াখালী জেলা যুবলীগের সম্মেলনের জন্য যে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে তা আগামী ২১ তারিখের পর আমরা সব অপসারন করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন জানান, জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে, সম্মেলন শেষ হওয়ার পরে লেবুখালী পায়রা সেতু থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন যায়গায় কোন ব্যানার ফেস্টুন থাকবে না।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ