নাম কামরুজ্জামান সুজন। বাস করেন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কুশুম্বা ইউনিয়নের শামুকখোল গ্রামের। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। মাছ চাষে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে উপজেলা সেরা মৎস্য চাষী হিসেবে পেয়েছেন পুরষ্কার।
কামরুজ্জামান এখন এলাকায় ‘মাছ বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত। প্রথমে কাজটা খুব সহজ ছিল না। তবে এখন তিনি সফল। চলতি মৌসুমে কোটি টাকার মাছ বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন কামরুজ্জামান।
জানা যায়, বাংলাদেশ পলিটেকনিক থেকে সিভিলে পড়াশুনা করেন। প্রথমে মাছ চাষ পরিবারের অনেকেই মেনে নেয়নি। কিন্তু হার না মানা কামরুজ্জামান পরিবারের সদস্যদের বোঝাতে সক্ষম হন। সবাইকে বোঝান, সবাই শহরে গেলে গ্রামে থাকবে কে? গ্রামের মানুষের কর্মক্ষেত্র তৈরী করবে কে?
এরপরের গল্পটা সবার-ই জানা, শুরু করলেন নতুন সংগ্রাম। অনেক কষ্ট করে পরম মমতায় মাছের চাষ করেন। সবসময় মেতে থাকেন মাছ নিয়ে। মাছ চাষই তার নেশা ও পেশা।
এলাকায় ১২ টি পুকুরে তার প্রকল্প এরই মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ১২ টি পুকুরে বর্তমানে রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্লাস কার্প, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, শিং, মাগুর মাছের চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে তার পুকুরে উৎপাদিত মাছের বিক্রির পরিমাণ ১ কোটি টাকার উপরে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন এই উদ্যমী উদ্যোক্তা।
সফল উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান জানান, ‘গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, জাতীয় উন্নয়নে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এখন নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। গ্রামের বেকার যুবকেরা তাঁকে দেখে নিজেদের যোগ্যতা আর সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে অনেকটাই মনোযোগী।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ