চলতি বছরের শুরুতে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝি সৈয়দ আমীনের মরদেহ প্রায় ১১ মাস পর উদ্ধার করেছে ক্যাম্পে কর্মরত ৮ এপিবিএন সদস্যরা।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত এফডিএমএন ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুব এর পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে পুঁতে লাশ এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেইড পরিচালনা করে ৩ জন এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়। তারা হলেন- ক্যাম্প ১৪ এর ঘর নং-১৪৯, এফসিএন নং-২৮৭৭৬৪, ব্লক-ই/৩, ক্যাম্প-১৪ এর মো. সালামের মো. ইসলাম (২২), একই ক্যাম্পের ঘর নং-৩৫২, এফসিএন নং- , ব্লক-ই/৩, ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়ার কাশেমের ছেলে আব্দুল মোন্নাফ (২৬), ও ঘর নং-২২৬, এফসিএন নং-২২০৮০৮, ব্লক-ই/৩, ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া, উখিয়ার মো. সালামের ছেলে মো. ইলিয়াস (২৮),
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ বছর জানুয়ারি মাসে চাকমারকুল ক্যাম্প-২১ এর সি/৪ ব্লক (সাবেক এম ব্লক) এর সাবমাঝি সৈয়দ আমীন (৪০) (পিতা- মৃত মোছা আলী, এফসিএন নং-২৪১৯৬৬) কে অপহরণ করে ক্যাম্প-১৪ তে নিয়ে আসে। অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছ হতে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। দুধর্ষ দুষ্কৃতিকারী শুক্কুর এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দুষ্কৃতিকারী মিলে সৈয়দ আমীনে হত্যা করে ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুব এর পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখে।
এসব তথ্য পেয়ে শনিবার বেলা ১১টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্যাম্প-১৪ এর সিআইসিসহ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ইয়াকুব মাঝির ঘর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। অপহৃত মৃত সৈয়দ আমীনের লাশ তার স্ত্রী হাসান বশরী পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে 'তার স্বামীর লাশ বলে' শনাক্ত করে।
তিনি আরো জানান, গত ১৭ জানুয়ারি বিকাল অনুমান ৪টার দিকে চাকমারকুল ক্যাম্প-২১ এর এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারী সাহাব উদ্দিন (ঘর নং-৮২), আনোয়ার (আরসা‘র হেড জিম্মাদার), আনোয়ার ফারুক ও সাদেক ভিকটিম সৈয়দ আমিনকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান জানান, ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে শফিউল্লাহকাটা পুলিশ ক্যাম্প-১৬ এর ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান ভূঁইয়াসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স নিয়ে এফডিএমএন ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেইড পরিচালনা করে ৩ জন এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়। তার স্ত্রী হাসান বশর লাশের পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে 'তার স্বামীর লাশ বলে' শনাক্ত করে। দীর্ঘ পর অপহৃত সৈয়দ আমীনের লাশ পেয়ে এফডিএমএন সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।
উল্লেখ্য ৮ এপিবিএন পুলিশের তৎপরতায় স্থানীয় রোহিঙ্গা ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে রাত্রিকালীন পাহারা জোরদার করার কারনে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা একের পর এক গ্রেফতার হওয়ায় ক্যাম্প এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলোচ্য হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের ঘটনাটি এফডিএমএন এলাকার প্রথম ঘটনা।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ