আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থী ধাপের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ৬টি ইউনিয়নের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই গণসংযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন হোসেনপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্য এবং মেম্বার প্রার্থীরা।
সরেজমিনে শনিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে সাথে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, চা স্টলে চলছে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও রাত দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন।
প্রতিটি গ্রামের অলিগলিতে ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের ছড়াছড়ি। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা।
ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে যেন এক অটুট বন্ধন। নিজের পছন্দের প্রতীক মন মতো বেঁছে নিয়ে প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি। জয়ের জন্য দোয়া চাইছেন প্রার্থীরা। চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬টি ইউনিয়নের প্রতীক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীগন হলেন, ১ নং জিনারী ইউনিয়নে আব্দুস সালাম (নৌকা), শাহজাহান সরকার (আনারস), ইমতিয়াজ ফরহাদ (মোটর সাইকেল), আজহারুল (চশমা), আজহারুল রহিদ (ঘোড়া), সালাউদ্দিন হীরা (অটোরিকশা)
২ নং সিদলা ইউনিয়নে কামরুজ্জামান কাঞ্চন (নৌকা), কফিল উদ্দিন (আনারস), আহাদুল (ঘোড়া)।
৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে এডভোকেট সাইদুর রহমান (নৌকা), শফিকুল ইসলাম হিমেল (আনারস) রতন (হাতপাখা)।
৪ নং আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে মোছলেহ উদ্দিন মুসলিম (নৌকা), খুশীর উদ্দিন (আনারস),
৫ নং শাহেদল ইউনিয়নে শাহ মাহবুবুল হক (নৌকা), মো. ফিরোজ মিয়া (আনারস)।
৬নং পুমদি ইউনিয়নে আব্দুল কাইয়ুম (নৌকা), মাহবুবুল হাসান মাহবুব (চশমা), নাজিবুল হায়দার রিপন (আনারস) কাঞ্চন মিয়া (মোটরসাইকেল)এছাড়া ৫৪ টি ওয়ার্ডে সাধারণ ২০৬ সংরক্ষিত ৬৯ জন সদস্যের মাঝেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। দিন-রাত ছুটে চলেছেন নিজ নিজ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে। ভোটারদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ করছেন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়। সেই সাথে নিজেদের প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে দিচ্ছেন এলাকার মানুষের কাছে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।
উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন, প্রতীক দেখে নয় এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন এমন প্রার্থীকেই বেছে নিবেন তারা।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ