প্রণোদনা কার্যক্রম চালু রাখায় এবারে লক্ষ্যমাত্রার চাইতেও বেশি রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে
এ বছর আবহাওয়া অনুকল থাকায় মুন্সীগঞ্জে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে। বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে হাসি ফুটেছে কৃষক কৃষানীর মুখে। সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও কৃষকের চোখে মুখে হাসির চিত্র দেখা গেছে।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন হাইব্রিড আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। সেখানে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও হাইব্রিড আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এতে ৪,২৭৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো যা, তবে আবাদ হয়েছে দ্বিগুণেরও চাইতেও বেশি জমিতে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলার সবগুলোতেই রোপা আমন ধানের আবাদ হয়ে থাকে। তবে সিরাজদীখান উপজেলায় সবচেয়ে বেশি।কৃষকরা জমির পাট বা আলু তোলার পর সেখানে রোপা আমন বুনে থাকেন। প্রায় চার মাস আবাদের পর এখন তাদের ব্যস্ততা ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলা নিয়ে। এরই মধ্যে প্রায় শতভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন তারা মাড়াই, ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজ করছেন।
উচ্চ ফলনশীল জাতের এই ধান চাষে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কোনো রোগবালাই না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। সদর উপজেলার কৃষক রিপন জানায়, এ বছর কাঙ্খিত ফলন ঘরে তুলতে পারেছেন তারা। বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভও হবে বেশ ভালো।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং প্রণোদনা কার্যক্রম চালু রাখায় এবারে লক্ষ্যমাত্রার চাইতেও বেশি রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে, আর ধান উৎপাদন বেশি। এখন আলু আবাদের মৌসুম এ জেলায়।
অসময়ের বৃষ্টিতে আলু আবাদে সমস্যা হওয়ায় কৃষকের মন ভেঙেও গেছে। তবে আলু চাষীরা সকল বাঁধা পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে ।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ