ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজ মঠবাড়িয়া মুক্ত দিবস

প্রকাশনার সময়: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৫১ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৫৪

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তখনও ছিল স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের দখলে। আজ ১৮ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া শত্রু মুক্ত হয়। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতে সুন্দরবন অঞ্চলের সাবসেক্টরের কমান্ডিং ইয়াং অফিসার লেফটেন্যান্ট আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ৩৭ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুন্দরবন অঞ্চল হতে মঠবাড়িয়ার আমরাগাছিয়ায় রত্তন হাওলাদার বাড়িতে অবস্থান নেয়।

পরে ১৭ ডিসেম্বর সংগঠিত মুক্তিযোদ্ধারা মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের পরাস্ত করতে মঠবাড়িয়া শহর হতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কালিরহাট বাজারে অবস্থান নেয়। অপর দিকে বাঘেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা থেকে ওই রাতে ১২০ জনের সশস্ত্র একটি বীর মুক্তিযোদ্ধার দল কালিরহাট বাজারে অবস্থান নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যোগ দেয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি আরো বৃদ্ধি পায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সশস্ত্র অবস্থান টের পেয়ে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ওই রাতেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে স্বাধীনতা বিরোধীরা আত্মসর্ম্পণের প্রস্তাব পাঠান। ভীত সন্ত্রস্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা বিনা রক্তপাতে আত্মসমর্পণ করলে মঠবাড়িয়া শত্রু মুক্ত হয়।

এরপর ১৮ ডিসেম্বর সকালে কালিরহাটে অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা মঠবাড়িয়া শহরে বিজয়ের শ্লোগান দিতে দিতে বীরদর্পে প্রবেশ করেন। বর্তমান পৌর বভনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তলোন করেন। এভাবে কোন রক্তপাত ছাড়াই ১৮ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া শত্রু মুক্ত হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে মুক্তিযোদ্ধদের এক সংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৮ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মঠবাড়িয়ায় উপজেলায় ৫১জন স্বাধীনতাকামী বাঙালি তাদের প্রাণ বিসর্জন দেয়।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ