চুয়াডাঙ্গায় চারা পদ্ধতিতে তুলা চাষ কৃষকরা জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তুলার গুণগতমান ভালো হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাহিদাও বেশি। আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশে হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ, চারা তৈরি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশে ছড়িয়ে দিতে তুলা উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
জানা গেছে, দোআঁশ, পলিযুক্ত মাটি ও উঁচু জমি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে চারা পদ্ধতি ও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ করছেন কৃষকরা।
তুলা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মণ তুলা উৎপন্ন হয়। বিঘাপ্রতি লাভ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মণ তুলার বর্তমান বাজার দর ৩ হাজার ৪০০ টাকা।
বাজারমূল্য ভালো থাকলে তুলার চাষ বাড়বে বলে মনে করেন কৃষক ও স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আল মামুন বলেন, বাজার ভালো থাকলে চাষিরা আরও বেশি দামে তুলা বিক্রি করতে পারবে। আগামী বছর এই পদ্ধতিতে তুলার উৎপাদন আরও চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান জানান, এই ভিন্নমুখী চাষাবাদে সহজেই একজন কৃষক লাভবান হতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ২৮৬টি স্থানে ৪ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে।নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ