কলমের আঁচড় কিংবা রংতুলি নয়, নয় কাপড়ের ওপর বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পুর্তি ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হাজার মানুষের সমন্বয়ে আঁকা হয়েছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। সাথে রয়েছে বিজয়ের ৫০ বছর। মানব পতাকায় বর্ণিল সাজে সেজেছে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম। আর এটির আয়োজন করেছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।
লাল সবুজের পোশাকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় মানব পতাকায়। বাংলার মানুষের গৌরবোজ্জ্বল এ প্রাপ্তি ও জীবন বিসর্জন দেয়া মুক্তিকামী মানুষদের স্মরণ রাখতেই এ ব্যাতিক্রমী আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সাথে ছিলেন হাজারো মানুষের পদচারনায় মুখোরিত স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ। বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ আয়োজন করেছেন জেলা প্রশাসক।
পতাকায় অংশ নেয়া মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী দিয়া জানান, মানব পতাকায় অংশ নিয়ে আমি খুশি। কারণ লাল সবুজের রঙে নিজেকে রাঙাতে পেরে কি যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বিজয়ের ৫০ বছরে নিজেকে সামিল করতে পেরে আমি গর্বিত।’
গাংনী উপজেলার সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী স্মৃতি জানান, লাল সবুজের পতাকায় নিজেকে সামিল করতে মুখিয়ে ছিলাম। পতাকায় অংশ নিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। বিজয়ের উল্লাসে আমরা আজ উদ্ভাসিত।
মানব পতাকার পরিকল্পনাকারী সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, নিজের পরিকল্পনাটি জেলা প্রশাসকের কাছে ভাগাভাগি করেছিলাম। এক কথায় রাজি হয়ে যান জেলা প্রশাসক। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করি। আসলে বিজয়ের ৫০ বছরে মানব পতাকা তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। এক কথায় তরুণদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বার্তা পৌঁছানোই ছিলো মূল উদ্দেশ্য।
আয়োজক জেলা প্রমাসক ড. মনছুর আলম খাঁন বলেন, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ বাক্য পাঠ করার ঘোষণা দিলে আমরা ভিন্ন কিছু চিন্তা করছিলাম। পরে সীদ্ধান্ত নেই বিজয়ের আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মানব পতাকা তৈরির। এতে সফল হয়েছি। মূলত বিজয়ের ৫০ বছর আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে এ আয়োজন। এখানে সর্বস্তরের মানুষ এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মনছুর আলম খাঁন। এছাড়ও উপস্থিত ছিলেন জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ