বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে সোহাগ হোসেন (২৬) নামে এক যুবদল নেতা ছুরিকাহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সোহাগ বুড়ইল ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং মুরাদপুরের রমজান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় ৮-১০ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে সোহাগ হোসেন নামে ওই যুবদল নেতা ছুরিকাহত হন। তখন প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, 'আমরা বঙ্গবন্ধুর মূরালে ফুল দিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের অফিসে যাচ্ছিলাম। তখন পিছন থেকে বিএনপির চিহ্নিত বিভিন্ন মামলার আসামিরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের ৭-৮জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।'

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল রউফ রুবেল বলেন, 'মাননীয় সংসদ সদস্যসহ বিএনপির সকল লোকজন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে হোটেলে এসে নাস্তা করছিল। এসময় আওয়ামী লীগের অতিউৎসাহী কিছু লোক আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আমাদের ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।'

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এস