কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের অনেক ডাক্তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে হাসপাতালে না থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোন কোন ডাক্তার নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে না এসে তাদের ইচ্ছা মতো সময়ে আসা যাওয়া করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে।
১৫ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় সদর হাসপাতাল ঘুরে ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে রোগীরা বর্হিবিভাগের টিকিট সংগ্রহ করে ডাক্তারের কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ১০টার পরেও কোন কক্ষে ডাক্তার আসছে না। রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্হিবিভাগে দায়িত্বপালনকারী ডাক্তারদের কক্ষে কক্ষে গিয়ে দেখা যায় অনেক কক্ষ তালাবদ্ধ আবার অনেক কক্ষ খোলা রয়েছে। তবে কোন কক্ষেই ডাক্তার নাই।
সদর হাসপাতাল অফিস কক্ষে থাকা ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী জানা যায়, বুধবার হাসপাতালের বর্হিবিভাগে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন পোদ্দার, ডা. সাবিকুন নাহার, ডা. লিমিয়া ছামিয়া, ডা. আকরাম এলাহী. ডা. মফিজুর রহমান, ডা. রমেশ, ডা. রোকসানা ও ডা. নাছির দায়িত্ব পালন করবেন।
এদের মধ্যে জরুরি বিভাগে ডা. সাবিকুন নাহার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন পোদ্দার ছাড়া অন্য কাউকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন পোদ্দারকে জানানো হলে তিনি ডিউটি রোস্টার ও হাজিরা খাতা মিলিয়ে দেখে অনুপস্থিত ডাক্তারদের মধ্যে হাজিরা খাতায় ডাক্তার আকরাম এলাহীর সাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তিনি হাসপাতালে উপস্থিত নাই। তখন মোবাইল ফোনে ডা. সুমন পোদ্দার ডা. আকরাম এলাহীর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তিনি স্বাক্ষর করে হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। তখন তার হাজিরা বাতিল করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার। পরে তিনি একে একে অনুপস্থিত সকল ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং হাজিরা বাতিল করে বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ককে অবগত করেন।
এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ডাক্তারদের অনুপস্থিতির কথা আবাসিক মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। অনুপস্থিত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কৈফিয়ত তলবসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ