ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
রূপগঞ্জ ট্রাজেডি

চারিদিকে পোড়া ধ্বংসস্তূপ, বাইরে নিখোঁজের সন্ধানে পরিবার

প্রকাশনার সময়: ১০ জুলাই ২০২১, ১৫:৪১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস এন্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শনিবার দিনভর চলছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান ও ডাম্পিং কার্যক্রম। ভবনের ৬ তলার আগুন নিভে আসলেও এখনো সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে ভবনটিতে ফায়ার ফাইটিংয়ের কোন ব্যবস্থাই ছিল না। এছাড়া পুলিশ এই হতাহতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতেও প্রস্ততি গ্রহন করেছেন। আজও নিখোঁজের খোঁজে তাদের স্বজনরা ছুটে আসছেন কারখানায়। শনিবার সরেজমিন গিয়ে আগুন লাগা ভবনে চারিদিকে শুধু পোড়া ধ্বংসস্তূপ দেখা গেছে।

শনিবার দুপুর ১২টায় গণমাধ্যমকে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিলিভ ডিফেন্সের পরিচালক( অপারেশন এন্ড ম্যানটেনেন্স) জিল্লুর রহমান জানান, ভবনের ৬ তলায় তাদের অভিযান চলমান রয়েছে। তবে সেখানে নতুন করে আর কোন লাশ পাবার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়াও আগুন লাগা ভবনে কোন ধরনের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। ভবনের আয়তন ও লোকজন অনুসারে ৫টি সিঁড়ির দরকার ছিল। সেখানে রয়েছে মাত্র একটি সিঁড়ি। ভবনটি তৈরিতে কোনও প্রকার বিল্ডিং কোড মানা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৪ তলার সিঁড়ি নেট দিয়ে আটকানো ও তালাবদ্ধ থাকায় কারনে এতো বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এদিকে ভবনের ৫ম তলা পর্যন্ত গিয়ে দেখা গেছে চারিদিকে শুধু পোড়া ধ্বংসস্তূপ আর দূর্গন্ধ। ৬ তলায় কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সেখানে বিভিন্ন জায়গার ধ্বংসস্তূপ থেকে আগুনের শিখা জ্বলছে। সেসব আগুন নেভানো ও লাশের খোঁজে নেমেছেন তাঁরা।

এদিকে নিখোঁজ খাদিজার খোঁজে তার বোন-ভাই ছবি হাতে নিয়ে কারখানার গেইটে এসে কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুনের বৃহস্পতিবার তিনজন ও শুক্রবার আরও ৪৯ জনের পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত হন শতাধিক শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিট ২২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ