পাবনা সদর উপজেলা চরতারাপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এসময় আরো কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। নিহত যুবক নাসিম শেখ উক্ত ইউনিয়নের আটঘরিয়া পাড়ার নায়েব আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার বিকালে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে চরতারাপুর ইউনিয়নের তারাবাড়ীয়া বাজার এলাাকায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খানের (আনারস প্রতীক) সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন। এসময় বহিরাগত একদল হোন্ডা বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খানের (আনারস প্রতীক) সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
এসময় হামলার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করছিল নাসিম শেখ। হামলাকারীরা তা দেখে নাসিমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নেবার পথে নাসিম শেখ মারা যায়।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খান জানান, মঙ্গলবার বিকালে নিহতের ময়না তদন্ত ও জানাযা নামাজ শেষে স্থানীয় খাগরবাড়িয়া গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রার্থী রবিউল হক টুটুল ও তার কর্মী সমর্থকরা আমাদের প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। সোমবার সন্ধায় তারাবাড়ীয়া বাজার এলাাকায় পার্শ্ববর্তী সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন, নৌকা প্রার্থী রবিউল হক টুটুল এর নেতৃত্বে একদল হোন্ডা বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আমার নির্বাচনী কর্মী নাসিম মারা গেছে।
তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বরিউল হকের ব্যবহৃত মুঠোফনটি খোলা থাকলেও তিনি ফোন ধরেনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে হামলার ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী রবিউল হক টুটুল ও সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম পিরোজসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত আছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ